নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্ষণের বিরুদ্ধে এবং ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা মানব বন্ধন করেন।
এসময় আহ্বায়ক আবু তালহা বলেন, জনসংখ্যায় বিশ্বের বড়দেশ চীনে ধর্ষণের শাস্তি মেডিক্যাল পরীক্ষার পর ধর্ষণ প্রমাণিত হলে সরাসরি মৃত্যুদণ্ড। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদিআরবে ধর্ষণের শাস্তি শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে জনসমক্ষে শিরশ্ছেদ। দক্ষিণ আফ্রিকায় ধর্ষণের শাস্তি ২০ বছরের কারাদণ্ড।
সোমবার (বেলা ১২টায়) নারায়ণগঞ্জ চাষাড়াহস্থ কেন্দ্রীয় শইীদ মিনারে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাই পৃথিবীর উন্নত দেশ, যেমন যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণের শাস্তি ধর্ষিতার বয়স এবং ধর্ষণের মাত্রা বিবেচনা করে সর্বোচ্চ ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। রাশিয়ায় ধর্ষণের শাস্তি সর্বোচ্চ ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড।
তিনি আরো বলেন, মঙ্গোলিয়ায় ধর্ষককে ধর্ষিতার পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মালয়েশিয়ায় ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানে ধর্ষণের শাস্তি ৪ দিনের মধ্যে ধর্ষককে গুলি করে হত্যা। যেসব দেশে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড সেসব দেশে ধর্ষণের ঘটনা অনেকাংশে কমে গেছে।
কিন্তু বাংলাদেশে ধর্ষণের শাস্তি নির্দিষ্ট নয়। আইনের মারপ্যাঁচে সবাই আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। ধর্ষণের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান কার্যকর করা উচিত। আসুন, ধর্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই।
এ সময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক আবু তালহা আবদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম আহবায়ক সেলিম, ছাত্র ফেডারেশন এর মহিলা নেত্রী ফারজানা মুনা, মাহমুদুল হাসান যুগ্ন আহবায়ক ,জান্নাত যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইফতি খান প্রমুখ নেত্রীবৃন্দ।