প্রবাসী দুলাভায়ের টাকা আত্মসাত করে শালারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ থানায় অভিযোগ
সৌদি আরব প্রবাসীকে ব্যাবসার কথা বলে (১৭,৫০০০০), টাকা আত্মসাত করে দুলাভাই কে পথে বসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আড়াইহাজার গোপালদি গ্রামের আবু হাসান ও কেফায়েত উল্লার বিরুদ্ধে।
দোকান কেনা বা ব্যাবসার কথা বলে বিপুল অংকের ওই অর্থ হাতিয়ে নেন। দীর্ঘ বছরের প্রবাস জীবনের উপার্জিত কষ্টের সব টাকা হারিয়ে পথে বসেছেন দুলা ভাই আবু বাছির।হারানো টাকা ফিরে পেতে আবু বাছিরের দুই শালা আবু হাসান ও কেফায়েত উল্লার নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, চর শিবপুর গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে আবু বাছির ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সৌদি আরব পাড়ি জমান। বিদেশে গিয়ে ভাগ্যের চাকাও ঘুরিয়ে ফেলেন। সেখানে একটি দোকান দিয়ে তিনি দুই হাতে টাকা উপার্জন করেন।
১।এরই মাঝে গত ২০১৪ইং শুরুর দিকে জালপট্রি মসজিদের পাশ্বে (পূর্বের নাম), বৈশাখী ট্রেডার্স গ্রে-কাপড়ের দোকান নেবার জন্য আমার গচ্ছিত টাকার সর্বসাকুল্য টাকার পরিমান ৯,০০,০০০/-(নয় লাক্ষ টাকা নেয়)।
২।গোপালদি বাজার সিনেমা হল রোডে স্টীল ব্রিজ সংলগ্ন জনাব, আশেক আলী ষ্টোর (পূর্বের নাম),পাইকারি মুদি মালের দোকান সময় ২০১৮ সালের শেষ অংশে।
২৮/০১/২০১৬ইং থেকে ২৯জুন ২০১৮ ইং পর্যন্ত মোট ২৯(উনত্রিশ) মাস প্রবাস থেকে সাথে করে মোট ৯,০০,০০০/-(নয় লক্ষ),টাকার সমপরিমাণ সৌদি রিয়েল নিয়ে আসি।এবং উক্ত রিয়েল বাংলা টাকায় কনভার্ট করে ১০/০৭/২০১৮ইং থেকে ২৩/০৭/২০১৮ইং তারিখের মধ্যে ৬,১০,০০০/-(ছয় লাক্ষ দশ হাজার), টাকা নিজ একাউন্টে জমা রাখি এবং ২,০০,০০০/-(দুই লাক্ষ টাকা সমপরিমাণ সৌদি রিয়েল (১) আবুল হাসান সরকার, (২)কেফায়েত উল্লার হাতে নগত দেই।এবং ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ইং থেকে ২২শে ডিসেম্বর ২০১৮ ইং তারিখের মধ্যে আমার নিজ একাউন্ট থেকে নগত ৭,০০,০০০/-(সাত লক্ষ), টাকা তুলে দেই।২২শে ডিসেম্বর ২০১৮ইং থেকে ২৮ জুন ২০১৯ইং পর্যন্ত হুন্ডিতে দেই নগত ৩,০০,০০০/-(তিন লাক্ষ),টাকা২৮শে জুন ২০১৯ইং তারিখে আমি দেশে আসার পর অলংকার বিক্রি করে উক্ত ব্যাক্তি কে দেই১,০০,০০০/-(এক লাক্ষ),টাকা।উপরোক্ত ২২,০০,০০০/-(বাইশ লাক্ষ),টাকা থেকে আমাকে ৪,৫০০০০/-(চার লাক্ষ পঞ্চাচাশ),টাকা পরিশোধ করেন এবং বাকি টাকা পরিশোধ করেননি টাকা চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করেন।বাকি টাকা পরিশোধ করেন নি।
সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে দুলা ভইয়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং তার বোন,ভাগিনা, ভাগ্নিকে কুপরামর্শ দিয়ে তাদের বাড়িতে রাখেন এবং সংসারে সমস্যা সৃষ্টি করে বোন, ভাগিনাকে নিজ আয়ত্তে এনে টাকা আত্মসাত করেন।
এ বিষয়ে তদন্ত করতে যান আড়াইহাজার থানার এসআই মামুন,তিনি বলেন তাদের সাথে কথা বলা হয়েছে, তারা আমাকে বলেছে ২৮/১০/২০২৪ইং তারিখে বিকেল ৩ঘটিকার সময় থানায় উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে কথা বলবেন।এ বিষয়ে আরো আড়াইহাজার থানার (ওসি),এনায়েতের সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন ঘটনার সত্যতা যাচাই করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সুপার জনাব পত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন যদি আমাদের আইন শৃংখলা বাহিনী এই বিষয়ে কোনো গাফলতি করেন তাহলে আমাকে জানাবেন।